দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter Wednesday, September 15, 2021
টিটেনাস একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ যা ক্লস্ট্রিডিয়াম টেটানি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের স্নায়ুতন্তকে আক্রান্ত করে, পেশি গুলোকে শক্ত করে দেয় যার ফলে পেশিতে টান পড়ে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি বছরের পর বছর বেঁচে থাকতে পারে।
টিটেনাস প্রধানত চোয়াল এবং ঘাড়ের পেশী শক্ত করে তোলে। তাই এর নাম লকজাউ, কিন্তু এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সময়মত চিকিৎসা না করা টিটেনাস সংক্রমনে জীবন-হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। এটি সংক্রামক নয়, অর্থাৎ এটি একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে না। তবে কাটা এবং ক্ষতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এটি রক্তের মধ্যে থাকে এবং স্নায়ুতন্ত্রর ক্ষতি করে। টিকাদানের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যাইহোক, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ চিরকাল স্থায়ী হয় না। মানুষকে প্রতি ১০ বছর পর বুস্টার শট নিতে হবে। টিটেনাসে আক্রান্ত রোগীরা পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে।
টিটেনাস যে কারো হতে পারে শিশু কিম্বা বয়স্ক যাই হোক। তবে এটি শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। যাদের নিয়ম অনুযায়ী টিকা দেওয়া হয়নি এবং মরিচা পড়া সূঁচ শরীরে বিদ্ধ হয়েছে তাদের এই রোগ বেশি দেখা যায় । উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রান্ত ক্ষত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তবে যাইহোক, ব্যাপকভাবে টিকা দেওয়ার কারণে, টিটেনাস এখন পর্যন্ত একটি বিরল রোগ।
টিটেনাস ক্লস্ট্রিডিয়াম টেটানি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। এটি পরিবেশের যে কোন স্থানে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সারে, মরিচা পরা লোহায় ইত্যাদি । একবার ব্যাকটেরিয়া ক্ষতের সংস্পর্শে এলে, এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। টক্সিন রক্ত প্রবাহে পৌঁছানর মাধ্যমে এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে । প্রথমে স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং পেশীগুলিকে শক্ত করেতোলে ফলে স্বাভাবিক চলাফেরায় রোগীর কষ্ট অনুভত হয়।
সাধরনত এটি যেভাবে সংক্রমিত করে:
১. ময়লা, মল বা লালা দ্বারা দূষিত ক্ষত
২. মরিচা পরা লোহার ক্ষত
৩. আঘাত
৪. মৃত টিস্যু সহ আঘাত
৫. পোড়া
তবে যাইহোক, সংক্রমণের লক্ষণগুলি প্রকাশিত হওয়ার গড় সময় হলো ১০ দিন। ইনকিউবেশন পিরিয়ড (অসুস্থতার সংস্পর্শ থেকে সময়) ৩ থেকে ২১ দিন। গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে এটি আরো কম সময়ে দেখা দিতে পারে।
১. মাথাব্যাথা
২. পেশী শক্ত হওয়া, চোয়াল থেকে শুরু করে ঘাড়, বাহু এবং পা শক্ত হয়ে যাওয়া।
৩. পেশীর খিঁচুনি, বিশেষ করে মুখের পেশীতে।
৪. গিলতে সমস্যা
৫. শরীরে প্রচুর ঘাম ঝড়া।
৬. জ্বর
৭. উচ্চ রক্তচাপ
৮. হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন
৯. গলা ব্যাথা
টিটেনাসের আরো কিছু খারাপ দিক রয়েছে যা একজন রোগীর জীবন হুমকির মুখে ফেলতে পারে :
১/ ভোকাল কর্ডে অনিচ্ছাকৃতভাবে শক্ত অনুভব করা।
২/ নিউমোনিয়া
৩/ শ্বাস নিতে অসুবিধা
৪/ ফুসফুসের ধমনীর বাধা
টিটেনাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো সঠিক সময়ে টিকা নেওয়া । আরো যা করতে পারেন তা হল
১/ হিউম্যান টিটেনাস ইমিউন গ্লোবুলিন (টিআইজি) নামক ঔষধ দিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা।
৩/ ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা
৪/ পেনিসিলিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সেগুলো ব্যাবহার করা
কিছু ক্ষেত্রে, মৃত বা সংক্রামিত টিস্যু অপসারণের জন্য ডিব্রাইডমেন্ট নামে একটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে, রোগীকে তাদের শ্বাস নিতে সাহায্য করার জন্য লাইফ-সাপোর্টে রাখা হয়। টিটেনাস টিকা সঠিক সময়ে না নেওয়া হলে যদি রোগীর অবস্থা গুরুতর হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
কখনো টিটেনাস সংক্রমণের সম্ভবনা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিতে হবে। সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য একবার টিকা নিলে সেটি আজীবন স্থায়ী হয় না সাধারণত প্রতি ১০ বছর পরে বুস্টার টিকা নিতে হয়।
শিশুদের টিকা
ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাস টক্সয়েড এবং অ্যাসেলুলার পার্টুসিস ভ্যাকসিন (ডিটিএপি) এর অংশ হিসাবে টিটেনাসের টিকা দেওয়া হয় যা ডিপথেরিয়া, টিটেনাস এবং পার্টুসিস (হুপিং কাশি) থেকে রক্ষা করে। DTaP হল পাঁচটি টিকার একটি যা শিশুদের হাতে বা উরুতে দেওয়া হয় । যদি কেউ এই টিকা মিস করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ১০ বছরে Tdap বা Td নামে দুটি ভ্যাকসিন বুস্টার নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যারা ছোটবেলায় টিকা পাননি, যারা সম্প্রতি টিটেনাস থেকে সুস্থ হয়েছেন তাদের জন্য ১০ বছরের আপডেটেড বুস্টার ডোস দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। গর্ভবতী মহিলাদের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অতিরিক্ত ডোজ দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
টিটেনাসের টিকা নিরাপদ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। বেশিরভাগ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হালকা এবং দৈনন্দিন কাজকর্মকে প্রভাবিত করে না। কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল:
১. জ্বর
২. ইনজেকশনের জায়গায় ব্যাথা
৩. মাথাব্যাথা
৪. শরীরের ব্যাথা
৫. ক্লান্তি
৬. বমি বমি ভাব
৭. ডায়রিয়া বা বমি
৮. ক্লান্তি
৯. ক্ষুধামান্দ্য
কিছু বিরল ক্ষেত্রে মারাত্মক এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যা টিকা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে মূর্ছা, আমবাত, ত্বক ফ্লাশিং, শ্বাস কষ্ট এবং মাথা ঘোরা।
SHARE THIS
Share
discomfort migraine headache hypothyroidism first sle measles gastric ulcer stomach cancer cystic fibrosis cervical cancer mania ear tia ebola antiseptic bradycardia throat urinary tract infection excessive sweating muscle aches low blood pressure hydration trauma bone cholera contact dermatitis hypertension hirsutism sperm production anaphylaxis pancreatic in old age parkinson's disease hives generalized anxiety disorder gastric cancer
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
1 Like
অনেকেই আছেন যারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নাভিতে জিভ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ...
0 Like
স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...
2 Like
অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...
2 Like
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। অনেক জ্বরেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলে ...
1 Like
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে, রোগের লক্ষণগুলোই রোগের প ...
0 Like
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে,রোগের লক্ষণগুলোই রোগের পর ...
0 Like
প্রাত্যহিক জীবনে কতো কিছুই না খাওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু কি আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়া যায়? ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
1