দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter Wednesday, January 12, 2022
মৃগীরোগ হচ্ছে একধরনের স্নায়বিক ব্যাধি। অনেকে আবার মৃগীরোগকে মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী খিঁচুনিও বলে থাকেন। নারী, পুরুষ, যেকোনো বয়সের ব্যক্তিরই এই মৃগীরোগ থাকতে পারে। একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৃগীরোগের প্রভাব একেক রকমের হয়ে থাকে। ব্যক্তিভেদে তীব্রতার উপর নির্ভর করে খিঁচুনি হয়ে থাকে। মৃগীরোগ এবং খিঁচুনি বিভিন্ন ধরনের আছে। খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকরা অনেক রকমের ঔষধ নির্ধারিত করে থাকে। যদি সঠিক সময়ে মৃগীরোগের চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে, অনেক সময় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
১. স্বাদ, শ্রবণ এবং দৃষ্টিশক্তির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
২. সব কিছু অল্পতেই গুলিয়ে ফেলা।
৩. শরীর বিভিন্ন অংশ- হাত, পায়ে ঝাঁকুনি তৈরী করা।
৪. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
৫. মনের মধ্যে ভয়, উদ্বেগ এগুলো বেশি কাজ করে।
৬. নির্ধারিত কোন বিন্দুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা।
খিঁচুনি সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
১/ সাধারণ খিঁচুনি - সমগ্র মস্তিষ্কে প্রভাবিত করে।
২/ ফোকাল বা আংশিক খিঁচুনি - মস্তিষ্কের মাত্র একটি অংশকে প্রভাবিত করে।
শক্তিশালী খিঁচুনির কারণে অনেক সময় স্প্যাম এবং অনিয়ন্ত্রিত পেশীতে খিঁচুনি হতে পারে। যা কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়ে থাকে।
১. উচ্চ জ্বর
২. উচ্চমাএায় ব্যাথা
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া
৪. অ্যালকোহল
যে কোন ব্যক্তির শরীরেই মৃগীরোগ বিকাশ করতে পারে। সাধারণত মৃগীরোগ ছোট বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা দিয়ে থাকে। মৃগীরোগের কোন চূড়ান্ত নিরাময় নেই। তবে চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ এবং যথাযথ জীবন যাপনের মাধ্যমে মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
মৃগীরোগের খিঁচুনি বিভিন্ন কারণে শুরু হতে পারে। তাদের মধ্যে রয়েছে- ঘুমের অভাব, অসুস্থতা বা জ্বর, চাপ, অ্যালকোহল, ক্যাফিন, ঔষধের অত্যাধিক ব্যবহার, খাবার বাদ দেওয়ার মতো ঘটনা।
মৃগীরোগকে স্নায়বিক ব্যাধি হিসেবে ধরা হয়৷ কিন্তু মৃগীরোগকে বংশগত কোন কারণ বলা যাবে না। অনেক সময় স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে মৃগীরোগ হয়ে থাকে।
১. মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন
২. মস্তিষ্কের আঘাত
৩. মাথায় আঘাত
৪. মস্তিষ্কের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা।
৫. স্ট্রোক
৬. আলঝেইমার রোগ
৭. জেনেটিক ফ্যাক্টর
৮. ইলেক্ট্রোলাইট সমস্যা
৯. রক্তে শর্করার পরিমাণ কম
১০. সংক্রামক রোগ যেমন- এইডস বা মেনিনজাইটিস।
১১. খিঁচুনি
১২. মানসিক আন্দোলন
১৩. শরীরের অংশে ঝাঁকুনি
১৪. বিভ্রান্তি
১৫. পুনরাবৃত্ত স্টারিং
১৬. সচেতনতার সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি
১. অ্যালকোহল এবং ঔষধ প্রয়োজনের তুলনায় কম সেবন করা।
২. ঘুমের বঞ্চনা দূর করা
৩. হরমোনের পরিবর্তন
৪. উদ্বেগ এবং চাপ কমানো
৫. ঔষধের পরিবর্তন করা
৬. মানসিক চাপ কমানো
৭. যথেষ্ট পরিমান ঘুমানে
৮. স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
৯. সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ নেওয়া।
১০. স্ট্রেস ম্যানেজ করতে শেখা।
মৃগীরোগের লক্ষন দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে যেটা করতে সেটা হলো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসক রোগীকে বিভিন্ন রকম টেস্ট করার মাধ্যমে রোগীর অবস্থান বোঝার চেষ্টা করে যাবেন। রোগীর অবস্থান বুঝে সঠিক ভাবে চিকিৎসক ঔষধ দিয়ে থাকেন৷ চিকিৎসক মৃগীরোগের ক্ষেত্রে এন্টি এপিলেপটিক ঔষধ বেশি প্রয়োগ করে থাকেন। রোগীর শারীরিক অবস্থানের দিকে লক্ষ রেখে এই ঔষধের প্রয়োগ বাড়ানো কমানো হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে খিঁচুনির প্রভাব বেশি দেখা দিলে চিকিৎসকরা রোগীর উপর অস্তপাচার করে থাকেন। তবে প্রতিটি পদক্ষেপে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
মৃগীরোগের প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের বেশি কিছু ঔষধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে ঔষধ যে শুধু ভালো দিক বয়ে আনে এমনটা নয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব পরে থাকে। যেমন-
১. শারীরিক শক্তির অভাব
২. মাথা যন্ত্রণা করা
৩. দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া
৪. অধিক হারে চুল পড়া
৫. কম্পন এবং চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
এছাড়াও মৃগীরোগের জন্য জীবন ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। যেমন-
১/ প্রথমেই নিজের সমস্যার কথা চিকিৎসককে জানাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা যাবে না। যদি ঔষধ খাওয়ার পরেও সমস্যা না কমে বেড়ে যায় সেটাও চিকিৎসককে জানাতে হবে।
২/ খিঁচুনি উঠার আগে রোগীর মধ্যে কি কি লক্ষন দেখা দেয়। আবার খিঁচুনি থেমে যাওয়ার পর কেমন লক্ষন দেখা দেয় এগুলো খাতায় নোট করে রেখে চিকিৎসককে সব কিছু খুলে বলতে হবে।
৩/ নিয়মিত খাদ্যের তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। অনেক সময় সঠিক পুষ্টির অভাবেও মৃগীরোগ দেখা দেয়। যার কারণে নিয়মিত কম বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
৪/ মানসিক চাপ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে মৃগীরোগীরা আরো বেশি ঝুঁকির মুখোমুখি হয়ে যায়।
৫/ নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। সকালে তাড়াতাড়ি উঠে শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো এসব খুবই উপকারী।
SHARE THIS
Share
throat infections ear cardiac arrest jaundice glaucoma substance abuse disorders dandruff cardiovascular disease antiserum spine prostate cancer hepatic encephalopathy peritonitis in old age measles osteoarthritis bites bacterial shock colds acute pain iron supplement cold sores stomach cancer brain tumors bone marrow transplantation psoriatic arthritis colon cancer burns uti immunodeficiency low blood pressure seizures flu anxiety disorders emergency contraception
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
1 Like
অনেকেই আছেন যারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নাভিতে জিভ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ...
0 Like
স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...
2 Like
অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...
2 Like
আজকাল নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে সিসি ক্যামেরা মানে গোপন ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আবার বেশ কিছ ...
2 Like
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। অনেক জ্বরেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলে ...
1 Like
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে, রোগের লক্ষণগুলোই রোগের প ...
0 Like
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে,রোগের লক্ষণগুলোই রোগের পর ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0