হটাত জ্বরে আক্রান্ত হলে করনীয়
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। অনেক জ্বরেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলে ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter Saturday, August 07, 2021
এডিস মশা বিশ্বের অনেক বিপদজনক প্রাণীর মধ্যে একটি। ডেঙ্গু এবং পীতজ্বর এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই মশার কামড়ের ৩-১৪ দিনের মধ্যে শরীরে জ্বর আসে।
এডিস মশা অন্যান্য মশা থেকে অনেকটা ভিন্ন হয়ে থাকে। এরা সাধারণত দিনের বেলাই বেশি কামড় দিয়ে থাকে। এদের গা এবং পায়ে সাদা-কালো চিহ্ন থাকে। বিশেষ করে ভোর বেলায় এবং সন্ধ্যা হওয়ার মূহুর্তে এই এডিস মশা বেশি কামড় দিয়ে থাকে।
যেসব জায়গায় এডিস মশা বেশি বসবাস করে থাকে, সেগুলো হলো- পুরনো জুতা, বাগান পরিচর্চা করার জিনিসপত্র, ফুলের টপ, ঢাকনাছাড়া চৌবাচ্চা, পোষা প্রাণীর পাএ, পুরনো টায়ার, ইটের গর্ত ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশা জন্ম নেয় এবং সেই সাথে বেশি পরিমানে এসব জায়গায় থাকে।
এডিস মশার কামড়ে ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর বেশি দিন থাকলে মানুষ নানা রকম অসুবিধার হয়। সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেকে আবার প্রাণ হারিয়ে বসে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন- দক্ষিণ এশিয়া, মালেশিয়া সহ আরও কিছু দেশের মানুষেরা প্রতি নিয়ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত হয়ে পরছে। এডিস মশার কামড়ে প্রতিনিত মানুষ অসুস্থ হয়েই যাচ্ছে। এডিস মশা অনেক সময় খালি চোখে দেখা যায় না। তবে এদের গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে।
দেশের অনেক মানুষের মনে একটা প্রশ্ন আসে, এডিস মশা কামড়ালেই কি ডেঙ্গু হয়ে থাকে? কিন্তু এই ধারণাটা সঠিক নয়। এডিস মশা কামড় দিলেই ডেঙ্গু হয় না। আমাদের পরিবেশে নানা সময় নানা রকম ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। পরিবেশের মধ্যে উপস্থিত থাকা ভাইরাসটি যখন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমণ হয়। আর অই সংক্রমণ থাকা অবস্থায় এডিস মশা যখন কোন মানুষকে কামড় দিয়ে থাকে তখন তার ডেঙ্গু হয় ৷
পরিবেশ থেকেই যে শুধু এডিস মশার মধ্যে ভাইরাস প্রবেশ করে এমনটা না। এডিস মশা যেহেতু একাধিক মানুষকে কামড় দিয়ে থাকে। মানুষের শরীরেও অনেক সময় নানা রকম ভাইরাস বিদ্যমান থাকে। অই ভাইরাস আক্রন্ত ব্যক্তিকে কামড় দেওয়ার পর যখন অন্য কোন সুস্থ মানুষকে সেই এডিস মশা কামড় দিয়ে থাকে, তখন সেই সুস্থ ব্যক্তির ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয় এডিস ইজিপ্টিকে। ডেঙ্গু একটি দুষ্ট চক্রের মাধ্যমে ছড়ায়। ডব্লিউএইচও এর মতে, ভাইরাসটি সংক্রামিত মহিলা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে যায়। যদিও আমরা ডেঙ্গুকে এডিসের সাথে যুক্ত করে থাকি। তবে এটি হলুদ জ্বর, চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতেও পারে।
এডিস মশার উৎপত্তি সর্বপ্রথম পশ্চিম আফ্রিকায়। 400-550 বছর আগে ইউরোপীয় ক্রীতদাস বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্বের সাথে পরিচিত হয়েছিল। যখন এডিস মশা প্রথম আফ্রিকায় ছিল তখন গাছের ছিদ্র, পানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎসে বংশ বিস্তার করত।
এডিস মশা প্রতিটি মানুষের জন্যই ভয়াবহ। এরা নানা ধরনের জ্বর মানবদেহে ছড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঢাকা শহরে এডিস মশার সংখ্যা বেশি । কেননা ঢাকা শহরের মানুষ তাদের ব্যবহৃত ড্রেনে তারা সবসময় ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরে রাখে। যেখানে এডিস মশার বিস্তার দ্রুত হয়। আবার যখন অনেক বৃষ্টি হয় তখন ড্রেনের মধ্যে ময়লার কারণে পানি আটকে যায় সেটাও এডিস মশার বিস্তারের একটা অন্যতম কারণ।
নানা রকম ভাবে যেহেতু, এডিস মশার বিস্তার বেড়েই যাচ্ছে এবং আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য এটি হুমকিস্বরুপ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেজন্য কিভাবে সতর্ক থাকতে হবে সেই সম্পর্কে জানা দরকার।
১. বাড়ির আশেপাশের ঝোপ ঝাঁড়, আঙ্গিনা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২. বাড়িতে ব্যবহৃত টয়লেট এবং বাড়ির সামনে যাতে ৪/৫ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে।
৩. বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় হাফ প্যান্ট না পরিয়ে ফুল প্যান্ট পরাতে হবে। সেটা যখনই ঘুমাক না কেন!
৪. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায়। সেইজন্য দিনের বেলা ফুল হাতা জামা পড়াই ভালো।
৫. জানালায় নেট লাগিয়ে রাখা ভালো। এতে করে মশা রুমে কম আসার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া মশার মারার স্প্র, ম্যাট এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
৭. শরীরের অন্যান্য জায়গায় চেয়ে পা এর মধ্যে মশারা বেশি কামড় দিয়ে থাকে। কেননা পা এর দিকে মানুষের খেয়াল কম থাকে।
মানুষ নিজেরাই নিজেদের সচেতনতার মধ্যে দিয়ে এডিস মশার বিস্তার কমিয়ে আনতে পারে বলে আশা যায়।
SHARE THIS
Share
dizziness liver transplant osteoporosis hepatitis-c skin infection dry skin cold sores heartburn constipation runny nose emergency contraception pink eye migraine headache sore throat hyperuricemia insect bites lung hypothyroidism aids breast illness osteoarthritis down syndrome pain and fever urinary incontinence irritable bowel syndrome cancer prevention contact dermatitis diabetes stomach cancer apathy trauma children and adults aggression stress
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। অনেক জ্বরেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলে ...
1 Like
প্রাত্যহিক জীবনে কতো কিছুই না খাওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু কি আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়া যায়? ...
0 Like
১. ক্যাকটাস: ক্যাকটাস গাছের পাতা সাধারণত কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকায় এই গাছ বেশি জ ...
0 Like
বাজারে যেইসব কানের ড্রপ পাউয়া যায় ওইগুলার একটা কমন উপাদান হচ্ছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। কিন ...
2 Like
১) মূত্রাশয় সময়মত খালি না করা২) পানি পান না করা৩) লবন বেশি খাওয়া৪) সাধারন সংক্রমনগুলি ঠিকভ ...
1 Like
এডিস মশা বিশ্বের অনেক বিপদজনক প্রাণীর মধ্যে একটি। ডেঙ্গু এবং পীতজ্বর এডিস মশার কামড়ের মাধ্ ...
0 Like
সর্দি জ্বর আমাদের দেশের অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ । একে ঠাণ্ডাজনিত সাধারণ সর্দি বলা যায় । এ ...
0 Like
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস থেকে বিরত থাকাই ভালো । দ্বিতীয় তিনমাসে দম্পতির ইচ্ছে মতো স ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0