দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter Wednesday, August 25, 2021
অর্শ্বরোগ, যা সাধারণত পাইলস নামে পরিচিত। পাইলস শব্দটি গ্রীক শব্দ 'হিমোরহয়েডস' থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো শিরা। অর্শ্বরোগ এখন অনেক সাধারণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা অনুমান করা হয় যে, প্রতি চার জন ব্যক্তির মধ্যে একজনেরই অর্শ্বরোগ হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অর্শ্বরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
১. অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগ: অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের শিরাগুলো মলদ্বারের ভিতরে থাকে। এগুলি অনুভব করা বা দেখা যায় না এবং কোনও শারীরিক অস্বস্তির কারণ হয় না।
২. বাহ্যিক অর্শ্বরোগ: এই শিরাগুলি মলদ্বারের ত্বকের নিচে থাকে। এটা হলে অর্শ্বরোগ ব্যাথা, অস্বস্তি এবং চুলকানি হয়ে থাকে।
৩. থ্রম্বোজড অর্শ্বরোগ: বহিরাগত অর্শ্বরোগ যখন রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন থ্রম্বোজড হেমোরয়েড অর্শ্বরোগ দেখা দেয় । থ্রম্বোজড অর্শ্বরোগ হলে সবচেয়ে বেশি ব্যাথা করে এবং অস্বস্তি বোধ বেড়ে যায়।
অর্শ্বরোগের বিকাশের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো নিম্ন মলদ্বারে অতিরিক্ত চাপ। এটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন-
১. স্থূলতা
২. কম ফাইবারযুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে।
৩. দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
৪. মলত্যাগের সময় স্ট্রেনিং।
৫. টয়লেটে দীর্ঘ সময় বসে থাকা।
৬. গর্ভাবস্থা
৭.মলাশয়ের ক্যান্সার
৮. পূর্ববর্তী রেকটাল সার্জারি করা থাকলে।
৯. পায়ুসংক্রান্ত সহবাস
গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন পায়ূ অঞ্চলে চাপ যোগ করে এবং অর্শ্বরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অর্শ্বরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ধরনের অর্শ্বরোগের বিভিন্ন রকম লক্ষণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পায়ুঅঞ্চল ফোলা, চুলকানি, ব্যাথা অনুভব করা এবং অস্বস্তি বোধ করা।
১. পায়ু অঞ্চলে চুলকানি এবং জ্বালা হয়।
২. মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যায়।
৩. রক্তপাত হয়
৪.ব্যাথা এবং অস্বস্তি
১. মলত্যাগের সময় ব্যাথাহীন রক্তপাত হওয়া।
২.মলদ্বার খোলার কাছে ফোলে যাওয়া, ব্যাথা হওয়া এবং জ্বালা সৃষ্টি করা।
১. মলদ্বারের কাছে শক্ত গলদের মতো হওয়া।
২. ফোলা
৩. প্রদাহ
৪. অসীম যন্ত্রণা
যদিও অর্শ্বরোগে রক্তপাত হওয়া খুবই সাধারন। তবে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে অর্শ্বরোগ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-
১. মাঝে মাঝে পায়ুঅঞ্চলে এমনভাবে রক্ত জমাট বাঁধে যার ফলে তীব্র ব্যাথা হয় এবং অনেক বেশি রক্তপাত হয়।
২. অর্শ্বরোগের কারণে দীর্ঘস্থায়ী রক্ত ক্ষয়জনিত রক্তাসল্পতাও হতে পারে।
৩. যদি অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, এটি শিরাকে রোধ করে এবং অনেক ব্যাথা সৃষ্টি করতে পারে।
অর্শ্বরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মলকে নরম করে এমন খাবার খাওয়া।
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন- ফল এবং শাকসবজি মলকে নরম করতে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। দৈনিক প্রায় ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। সবসময় সক্রিয় থাকা এবং ব্যায়াম করা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সহায়তা করে। সেইসাথে পায়ুঅঞ্চলের শিরাগুলির উপর চাপ কমতে সাহায্য করে থাকে। রেকটাল স্ট্রেন কমানোর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে ।
১. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। মসলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে। সেই সাথে পাইলসের ব্যাথা বাড়িয়ে দেয়।
২. চা এবং কফি এড়িয়ে চলতে হবে। পাইলসের রোগীদের চা ও কফি খাওয়া মোটেই ঠিক না। তবে খুব ইচ্ছা করলে গ্রীন টি খাওয়া যেতে পারে। কেননা গ্রীন টি স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।
৩. বেকারিতে ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা এসব খাবার পাচকতন্তে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৪. তেলেভাজা খাবার পাইলসের রোগীদের জন্য খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে পাইলসের সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
৫. মাংস জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। বিশেষ করে দোকানে থেকে কেনা মাংস।
অর্শ্বরোগ নিয়ে বেশি সমস্যায় ভোগে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। ডাক্তারের সাথে দেখা করার পর ডাক্তার অর্শ্বরোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষ/ টেস্ট করাতে বলেন, সেগুলো অবশ্যই করিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসক একটি ডিজিটাল পরীক্ষা করে থাকেন। ডাক্তার একটি গ্লাভস পড়ে মলদ্বারের ভিতর হাতের আঙ্গুলে লুব্রিকেটে দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর চিকিৎসক এটা বোঝার চেষ্টা করে যে, রোগী ঠিক কোন জায়গাটায় ব্যাথা এবং ফোলা অনুভব করছে।
অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগ অনেক সময় ডিজিটাল পরীক্ষার মাধ্যমেও ধরা কঠিন হতে পারে। অভ্যন্তরীন অর্শ্বরোগ খুব নরম হয়ে থাকে। সেজন্য চিকিৎসক এটির চাক্ষুষ পরীক্ষা করে থাকেন। অ্যানোস্কোপ, সিগময়েডোস্কোপ বা প্রক্টোস্কোপ দিয়ে নিম্ন মলদ্বার, প্রোস্টেট এবং পায়ূ অঞ্চল পরীক্ষা করে।
অর্শ্বরোগে অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় এবং এটি শুধুমাত্র তখনই করা হয় যদি অন্যান্য কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা সফল না হয়। আরেকটি পদ্ধতি হলো হেমোরয়েড স্ট্যাপলিং যা হেমোরয়েডের রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। সেজন্য অর্শ্বরোগ অতিরিক্ত জটিল পর্যায়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।
SHARE THIS
Share
whooping cough anaphylaxis zinc herpes simplex urethritis schizophrenia laryngitis sweating skin infections uti alcoholism lubrication migraine headache anxiety iron supplement wounds surgery indigestion shock burns discomfort tia meningitis edema cancer prevention dry swine flu depression gas corn sperm production iron skin infection disinfectant rubella nutrition
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
1 Like
অনেকেই আছেন যারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নাভিতে জিভ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ...
0 Like
স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...
2 Like
অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...
2 Like
নাক বন্ধে নাকের ড্রপ ব্যবহারে কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?উত্তর: কিছু কিছু নাকের ...
0 Like
সহবাসের সঠিক নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে আর স্বামী ঠিক তার উপরি ভাবে থেকে সহবাস করবে। মহান ...
1 Like
মাসিকের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন থেকে ...
1 Like
কিছু কিছু নাকের ড্রপ আছে যা দীর্ঘদিন ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে স্যাল ...
2 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0