Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.

যৌন সংক্রামিত রোগ (এসটিডি) সম্পর্কে ৬ বিস্ময়কর তথ্য

Fahima Akter Monday, August 09, 2021


যৌন সংক্রামিত রোগ অনেক জটিল একটা সমস্যা। নারী ও পুরুষ যখন যৌন মিলন করে থাকে তখন এই রোগ ছড়ায়। যেকোনো একজন এই যৌন রোগে আক্রান্ত হলে অন্য জনও আক্রান্ত হয়ে যায়। যৌন মিলনের মাধ্যমে যৌন সংক্রামিত রোগ হয় বলে নারী ও পুরুষ দুই জনেরই ঝুঁকি থাকে। সঠিক ভাবে চিকিৎসা না করালে এটার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 


যৌন রোগকে অনেকে যৌন ব্যাধিও বলে থাকে। যৌন সংক্রামিত রোগ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-

১. গনোরিয়া 

২. জেনিটাল হার্পিস

৩. এইডস

৪. হেপাটাইটিস বি

৫. চ্যানক্রয়েড


বিভিন্ন চিকিৎসকদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, সারা পৃথিবীতে দশ লক্ষ মানুষেরও বেশি এই যৌন রোগে ভুগে থাকে। সময় মতো যদি এই রোগের চিকিৎসা না করা হয় তাহলে অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। এসটিডি যৌন সংক্রমণ রোগ নামে পরিচিত। ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রমণ হয়েছে। অধিকাংশ মানুষেরই এসটিডি ধরা পড়ে। যদিও এসটিডি খুবই সাধারণ, তবুও সেগুলি বাংলাদেশি সমাজে প্রকাশ্যে আলোচনা করা হয় না। যাদের এসটিডি আছে সমাজের মানুষ তাদেরকে নানা রকম ভাবে লজ্জা দিয়ে থাকে। 


যৌন সংক্রমণ রোগ নিয়ে আমাদের আরো নানা রকম তথ্য জানা প্রয়োজন। যেমন-


সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক

এসটিডিকে এড়িয়ে চলতে হলে অবশ্যই সুরক্ষিত ভাবে যৌন সম্পর্কে জড়ানো উচিত। নারী বা পুরুষ যে কোন একজনের মধ্যে ওরাল, এইডস, অ্যানাল এসব থাকলে আরেকজন খুব দ্রুত যৌন রোগে সংক্রমিত হয়ে যাবে। যার কারণে, যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত। কনডম ব্যবহারের ফলে ৯৭% যৌন সংক্রমণ কমে যায়। 


কিছু সংক্রমণ প্রানঘাতী

এমন কিছু কিছু সংক্রমণ রয়েছে যেগুলো শরীরে প্রবেশ করলে অনেক ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক সময় চিকিৎসকও ধরতে পারে না কিছু কিছু সংক্রমণ। এগুলো আসতে আসতে পুরো শরীরে ছড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে জঘম করে দেয়। ক্ল্যামাইডিয়ার হওয়ার পর যদি ভালো মতো চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা হয়, সেই সাথে মেয়েরা বন্ধ্যাত্বও হয়ে যায়। 


স্বামী ও স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা

অনেক সময় যৌনরোগ হলেও সেটা বোঝা যায় না। যার কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চেকাপ করানো উচিত। কারণ নিজেদের অজান্তেই এই রোগ শরীরকে জঘম করে দিয়ে থাকে। যৌনঅঙ্গে আলসার, মলত্যাগে ব্যাথা হওয়া, ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ এগুলো সবই যৌন রোগের সাধারণ লক্ষন। 


যেসব সংক্রমনের পরীক্ষা করানো উচিত

যৌন সংক্রমণ যেহেতু খুব জটিল। তাই নতুন কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে অবশ্যই কিছু পরীক্ষা করা করে নেওয়া ভালো। যেমন- এইচাইভি, হেপাটাইটিস, হারপিস ইত্যাদি। 



মহিলাদের এসটিডির ঝুঁকি বেশি থাকে। মহিলারা জৈবিকভাবে এসটিডি হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন কারণ, তাদের যোনির পৃষ্ঠ বড় থাকে। এসটিডির চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৩৫ টিরও বেশি এসটিডি রয়েছে। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) হারপিস, সিফিলিস, হেপাটাইটিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া এবং হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) ইত্যাদির সম্পর্কে যেমন আমাদের সচেতন হতে হবে, তার থেকে বেশি সচেতন হতে হবে এসটিডির ব্যাপারে । এই এসটিডিগুলি যৌন ক্রিয়াকলাপ যেমন, রক্ত ​​সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে যেতে পারে।


চিকিৎসা না করা এসটিডি মহিলাদেরকে বন্ধ্যাত্ব করতে পারে। এটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। চিকিৎসা না করা গনোরিয়া এবং ক্ল্যামিডিয়া ফ্যালোপিয়ান টিউবে ছড়িয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা না করা এসটিডির কারণে পুরুষরাও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। অতএব, নিয়মিত চেকআপ করা এবং কোন লজ্জা ছাড়াই রোগের চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।


কিছু এসটিডি উপসর্গবিহীন হতে পারে। হারপিস এবং ক্ল্যামিডিয়া সনাক্ত করা যায় না কারণ কিছু ক্ষেত্রে তাদের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। এসটিডি যেকোনো ধরনের যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। মৌখিক, পায়ূ বা যোনি লিঙ্গের যেকোনো ধরনের যৌন কার্যকলাপ করার সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও অনাগত শিশু এবং নবজাতক এসটিডি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের এসটিডি পরীক্ষা করা উচিত ।এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি অনাগত শিশুদের কাছে যেতে পারে। কিছু এসটিডি জন্মের সময় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং অকাল জন্ম, স্থির জন্ম, এবং কম ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে। যদি গর্ভাবস্থায় এসটিডি পাওয়া যায়, ডাক্তাররা সংক্রমণের চিকিৎসা করতে পারেন। যদি মা এইচআইভি পজিটিভ হয়, ডাক্তার সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা রাখার পরামর্শ দিতে পারেন।


যৌন সংক্রমণ রোগ লজ্জার কিছু না। অনেকে আছে যারা লজ্জা পেয়ে আর চিকিৎসকের কাছে যায় না। এতে করে সমস্যা আরো বাড়ে ৷ এটা নিয়ে লজ্জা পেলে চলবে না, তাহলে আরো বেশি ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে। এসটিডি অনেক সময় লক্ষণ দেখেও বোঝা যায় না। এর জন্য অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। চিকিৎসকরা বলেছেন যে, এই এসটিডির ব্যাপারে সচেতনতা, যত্নশীলের মাধ্যমে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে আশা করা যায়। 


Share

You May Like

Cloud categories

spondylitis severe eczema lung hiv erectile dysfunction reduces wrinkles infection stroke fever neck pain diarrhea hiv infection vitamin-b hair loss indigestion iron deficiency gastroesophageal reflux disease (gerd) oral hygiene heart failure irritable bowel syndrome (ibs) vitamin c calcium deficiency bacterial bacterial vaginosis bites calcium and vitamin d supplement healthy skin rashes skin infection piles tic disorders dry skin inflammation apathy schizophrenia constipation

দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...

1 Like

কেন ডাক্তাররা সিজার করেন? জেনেনিন সিজার করার কারণ সমূহ

স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...

2 Like

আপনি কি অ্যালকোহল পান করেন ? কিছু বিষয় যেনে পান করুন

অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...

2 Like

স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম?

সহবাসের সঠিক নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে আর স্বামী ঠিক তার উপরি ভাবে থেকে সহবাস করবে। মহান ...

1 Like

মাসিক হবার কত দিন আগে বা পড়ে কনডম ছাড়া সেক্স করা নিরাপদ

মাসিকের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন থেকে ...

1 Like

পেটের চর্বি কমানর সহজ কিছু ব্যায়াম। পর্ব ১

পেটের চর্বি কি আপনার ঘুম হারার করে দিয়েছে? আজকাল ছোট বর অনেকেই এই সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু ...

1 Like

পেটের চর্বি কমানর সহজ কিছু ব্যায়াম। পর্ব 2

গত পর্বে লিখা হয়েছিল কিভাবে ক্রাঞ্চেস (Crunches) করবেন। না পরে থাকলে নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে ...

1 Like

পানির সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার পাবেন

পানির সঙ্গে প্রতিদিন অন্তত একবার করে মধু মিশিয়ে পান করতে পারলে তা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। ...

0 Like