দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter
Wednesday, August 25, 2021

যখন কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস হয় তখন তার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরের ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। মানুষের প্রসাবের মাধ্যমে শরীরে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। যেসব ব্যক্তিদের একবার ডায়াবেটিস হয় তাদের আর কখনো এটি সারে না। তবে বিভিন্ন উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়৷ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘন ঘন প্রসাব হয়ে থাকে। এতে করে শরীরে থাকা গ্লুকোজ প্রসাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। প্রসাবের মাধ্যমে গ্লুকোজ বেরিয়ে আসার ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোন রকম শক্তি উৎপন্ন হয় না। যার কারণে রোগী অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।
ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় ব্যাধি যা নিরাময় করা যায় না। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাতে হয়। যেসব ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
১. টাইপ 1
২. টাইপ 2 এবং
৩. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
যেসব মানুষের ছোটবেলা থেকেই ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকে অথবা একে বারেই থাকে না তাদেরকে টাইপ 1 ডায়াবেটিসের রোগী বলা হয়। টাইপ 1 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কৃত্রিমভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করাই ভালো।
টাইপ 1 ডায়াবেটিস তখনই দেখা দেয় যখন ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের উৎপাদিত কোষগুলিকে ইনসুলিন তৈরির জন্য ধ্বংস করে। এটি ইনসুলিনের অপ্রতুলতার দিকে পরিচালিত করে, যা শরীরের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয়। এই কারণটিকে বলা হয় অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া। কিছু ট্রিগার এতে জড়িত হতে পারে:
১.খাবারের জিনিসগুলিতে রাসায়নিক বিষ।
২.সংক্রমণ (ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া)।
৩.অজানা উপাদান অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
অগ্ন্যাশয় হতে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন কম উৎপন্ন হলে কিংবা ইনসুলিন তৈরিতে ব্যর্থ হলে সেটিকে বলা হয় টাইপ 2 ডায়াবেটিস । টাইপ 2 ডায়াবেটিস হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হয় , পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের বেশিরভাগ সময় বংশগত কারণেই হয়ে থাকে। টাইপ 2 ডায়াবেটিসের আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন -
১. ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে।
২. স্থূলতা
৩. সঠিকভাবে জীবনযাপন না করা।
৪. খারাপ ডায়েট
এই ধরণের ডায়াবেটিসের কারণ এখনও অজানা। তবুও, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসেরপ্রচুর ঝুঁকির কারণ রয়েছে:
১. অতিরিক্ত ওজন
২. বংশগত কারণ
৩.লিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম
৪. শিশুর বেশি ওজন
* মূত্র নিরোধক
* কুশিং সিনড্রোম: এই সিন্ড্রোম কর্টিসল হরমোনে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে কর্টিসল হরমোন ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
* স্টেরয়েড ডায়াবেটিস: এটি ডায়াবেটিসের একটি বিরল রূপ যা গ্লুকোকোর্টিকয়েড থেরাপির দীর্ঘায়িত ব্যবহারের কারণে ঘটে।
১/ ক্লান্তি বোধ করা- ডায়াবেটিস হলে মানুষের কোষগুলি চিনি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে রোগীরা ক্লান্ত বোধ করে থাকেন।
২/ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কোন রকম ঘা হলে সেটা ভালো হতে অনেক দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
৩/ তৃষ্ণা বৃদ্ধি- ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে অতিরিক্ত চিনি জমে, টিস্যু থেকে তরল বের হয়ে যায়। যার কারণে রোগী ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত হয়।
৪/ ঘন ঘন প্রস্রাব- শরীরে বেশি পানি থাকার ফলে এবং ঘন ঘন পানি পান করার কারণে রোগী বেশি প্রস্রাব করে থাকে।
৫/ ক্ষুধার যন্ত্রণা- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ইনসুলিনের অভাব থাকার কারণে খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে না। যখন শরীরে শক্তির অভাব হয় তখন ডায়াবেটিস রোগীরা কিছু ক্ষন পর পরই ক্ষুধার্ত বোধ করে থাকে।
৬/ অস্পষ্ট দৃষ্টি- শরীরের অন্যান্য কোষের ক্ষেত্রে যখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে তখন চোখের লেন্স থেকে তরল বেরিয়ে যেতে পারে। যার ফলে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়।
৭/ ত্বকে কালচে দাগ - টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কখনও কখনও ত্বকে কালো দাগ থাকে। সাধারণত ঘাড় ও বগলে এই রকম কালো দাগ থাকে । এই অবস্থাটি অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস নামে পরিচিত এবং এটি ইনসুলিন প্রতিরোধের একটি চিহ্ন হতে পারে। টাইপ 2 ডায়াবেটিসে পায়ে ব্যথা এবং মুখ শুকনো হয়ে যেতে পারে।
১.ছত্রাক সংক্রমণ
২.যোনি সংক্রমণ
৩.পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম)
৪.বিষণ্ণতা
ক. চোখের জটিলতা যেমন- গ্লুকোমা এবং ছানি
খ. উচ্চ রক্তচাপ
গ. মাড়ির রোগ
ঘ. পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন
ঙ. বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ
চ. ক্ষত বা ঘা যা সারতে বেশি সময় নেয়
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা হলো -
১. একসাথে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে কিছু ক্ষন পর পর খাওয়া।
২. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন -(ভাত, সাদা রুটি, সাদা পাস্তা, ময়দা) এগুলো কম খাওয়া।
৩. ভারি খাবারের পরিবর্তে রুটি, সবজি, সালাদ, ডিমের সাদা অংশ বা স্কিম পনির যুক্ত লো-কার্ব খাবার বেছে নিতে হবে।
৪. প্রতিটি খাবারে প্রোটিনের একটি অংশ (স্কিম মিল্ক প্রোডাক্ট, মুরগি, মাছ, ডিমের সাদা অংশ) এবং ফাইবারের একটি অংশ (সবজি, ফল, সালাদ) খাওয়া জরুরি। এসব খাবার বিপাককে ত্বরান্বিত করতে এবং চর্বিকে হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৫. মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্পূর্ন ভাবে পরিহার করতে হবে।
৬. ১ চা চামচ মেথি বীজ, ১ চা চামচ দারুচিনি এবং ১ গ্লাস দুধের কারেল জুস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. সপ্তাহের কিছু কিছু দিন একে বারেই কম খাবার খেতে হবে।
৮. অতিরিক্ত ওজন একটি সুস্থ জীবনযাপনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। উচ্চ ক্যালোরি, শর্করা এবং চর্বিযুক্ত খাবার গুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ মানুষকে স্ট্রোক, মেটাবলিক সিনড্রোম, টাইপ 2 ডায়াবেটিস এগুলো থেকে ভালো রাখে। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীরে রক্তের প্রভাব ঠিক রাখে। ব্যায়াম করার ফলে মানুষের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুড এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
জাঙ্ক ফুড হলো এমন এক ধরনের খাবার যার মধ্যে পুষ্টির কোন অংশ নেই এবং এতে ক্যালোরি বেশি থাকে। সেইসাথে স্বাস্থ্যের জন্যও বিপদ ডেকে আনে। জাঙ্ক ফুডের ভালো স্বাদ আসে হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট থেকে। এই সব খাবার খাওয়া ফলে চর্বির স্থূলতা, এথেরোস্ক্লেরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ হয়ে থাকে । জাঙ্ক ফুড খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি করে দেয়। যার কারণে জাঙ্কফুড সবসময় এড়িয়ে চলাই ভালো। স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস একসাথে চলে, তাই ওজন বজায় রাখা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ডায়াবেটিসের পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। চিকিৎসকের দেওয়া ইনসুলিন নিয়মিত দিতে হবে। খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে।
SHARE THIS
Share
lung cardiac arrest sneezing helicobacter pylori infection kidney disease hypotension lactose intolerance type 2 diabetes diabetes red eye trichomoniasis calcium supplement sinusitis liver cirrhosis laryngitis hiv infection cancer prevention itchy meningitis iron deficiency eczema piles constipation skin infection mumps kaposi's sarcoma lymphomas motion sickness wounds spine sore throat acne breast prostate cancer cuts ankylosing spondylitis
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
1 Like
অনেকেই আছেন যারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নাভিতে জিভ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ...
0 Like
স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...
2 Like
অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...
2 Like
যার একবার হয়েছে সেই জানে এর কষ্ট। তাই তো সবাই বেঁচে বেঁচে থাকে উকুনের থেকে। কিন্তু তবু কি ...
0 Like
ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারেন না অথবা অনেকে বিছা ...
1 Like
পেটের চর্বি কি আপনার ঘুম হারার করে দিয়েছে? আজকাল ছোট বর অনেকেই এই সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু ...
1 Like
এই অবাঞ্ছিত লোমের কারণে অনেককে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন বিউটি টিট্রমেন ...
2 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0