হোমিওপ্যাথি কিভাবে কাজ করে ? চিকিৎসা নেয়ার আগে কিছু পরামর্শ
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে, রোগের লক্ষণগুলোই রোগের প ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter
Saturday, August 07, 2021

মন নিয়ে সঠিক সংজ্ঞা এখনো পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। মন অনেক জটিল একটা জিনিস। মন এমন একটা বিষয় যার ফলে পরিবেশে হয়ে যাওয়া কোন জিনিসের প্রতি উদ্দেশ্যপ্রনিত হতে পারে। মন আবেগ, অনুভূতি দিয়ে যেকোনো বিষয় বিশ্লেষণ করতে পারে। মানুষের চিন্তা, আবেগ ও অনুভূতি যখন বুদ্ধি ও বিবেকবোধের মাধ্যমে এক সমষ্টি গত রুপ ধারণ করে তখনই সেটা মন ।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএমএইচ) বাংলাদেশের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মানসিক বা স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হয় ।
বর্তমানে সমস্ত উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে বিশ্ব সংযুক্ত। তবুও, অনেকেই নিঃসঙ্গ, নির্জন এবং হতাশা বোধ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে হতাশা সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি যা, আমাদের বিশ্ব জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
মানসিকচাপ পুরোটাই মনের সাথে সম্পর্কিত। মানসিক চাপ স্বাস্থ্যর জন্য খুবই হানিকর। মানসিক চাপ অনেক কারণেই সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- বিষন্নতা, বন্ধুত্বের অভাব, আত্মবিশ্বাসের অভাব, অপরাধবোধ, সঙ্গের অভাব ইত্যাদি।
মানসিকের চাপ থাকলে মন যে সবসময় খারাপ থাকে এমনটা নয়। মনের সাথে সাথে স্বাস্থ্যর উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পরে। মানসিক চাপের ফলে মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ ইত্যাদির উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে। মানসিক চাপ মানুষকে বিষন্নতায় ফেলে দেয়।
মানসিক চাপ অনেক কারণেই হতে পারে। যেমন :
১. পারিবারিক সমস্যা মানসিকের চাপের অন্যতম কারণ। অনেক পরিবারে মা-বাবা আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণে সন্তানদের একধরনের মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয় ।
২. দারিদ্রতা / অর্থহীনতা।
৩. বন্ধুত্ব, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের টানাপোড়ন পরলে।
৪. কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে।
৫. বিভিন্ন রকম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে।
৬. পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে।
৭. নিজের বিশ্বাস নিয়ে কেউ ধোকা দিলে।
মানসিক চাপের কারণে মানুষ অনেক অসুস্থতার মুখোমুখি হয়ে থাকে। যেমন- মস্তিষ্কের কোষ গুলোকে মেরে ফেলে, মানুষের স্মৃতি শক্তি কমিয়ে দেয়, মনোযোগ কমে যায়, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে হয়, মাথা ঝিম ঝিম করা ইত্যাদি।
একজন ব্যক্তির সাংস্কৃতিক পরিচয় একটি সুস্থ মনের বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনেবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.মাহফুজা খানম বলেছেন যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু আচরণের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। এটার জন্য সবাইকে মানসিক রোগী বলা যাবে না। যারা মানসিক রোগে আক্রন্ত হয়ে থাকে তাদের আচরণ, দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড, ব্যবহার এই সব কিছুতেই অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। প্রতিটি মানুষের মন যেমন আনন্দিত হয় থাকে তার সাথে সাথে মন খারাপও হয়ে থাকে। মন খারাপের সময়কাল যদি সাময়িক হয়ে সেটা স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে হবে। তবে, দীর্ঘসময় যদি এই মন খারাপের ফলে মনে বিষন্নতার সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যর প্রতি নজর দিতে হবে।
অনেক মনোবিজ্ঞানিরা বিষন্নতাকে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত করেছেন। ২/৩ সপ্তাহের মতো যদি কোন ব্যক্তি বিষন্নতায় ভোগে থাকেন ধরে নিতে হবে সে অবশ্যই মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সেই সময় তাকে অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। বিষন্নতাকে এড়িয়ে চলা যাবে না। বিষন্নতার ফলে মানুষ তার সুন্দর জীবনকে শেষ করে দিতেও পিছপা হয় না।
বর্তমান সময়ে সবকিছু ডিজিটাল হউয়ার কারণে এক জনের সাথে অন্য জনের সামনাসামনি কথা বলা, গল্প করা, খেলাধুলা করার প্রবনতা অনেক কমে গেছে। গত ৭০ বছরে মানসিক রোগ চিকিৎসায় অনেক পরিবর্তন চলে আসছে। কেউ যদি মানসিক রোগে আক্রন্ত হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও গান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত এক্সারসাইজ, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এগুলোর ফলেও মানসিক চাপ অনেকটা কমে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন - নিয়মিত হাটা, ব্যায়াম করা, ধর্মীয় কাজ করা, বাগান পরিচর্চা করা, নানা রকম সৃজনশীল কাজ করা, নিজের পছন্দের সব রকম কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম দিক হলো নিয়মিত ঘুমানো। অর্থ্যাৎ ৭/৮ ঘন্টা নিয়মিত ঘুমাতে হবে। খাবারে অনীহা করা যাবে না। অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কাছের বন্ধুদের সাথে ভালো বিষয়ে গল্প করতে হবে। নেতিবাচক কাজ এডিয়ে চলতে হবে। সেই সাথে নিজেকে অবশ্যই গুছাতে হবে।
তরুণ প্রজন্মের হতাশা দূর করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা করতে হবে। ডাব্লুএইচও এখন মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সিস্টেমে আরও দক্ষতার সাথে সংহত করার আহ্বান জানাচ্ছে। কিছু সমাজে, মানসিক অসুস্থতাকে বিব্রতকর বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়, এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
SHARE THIS
Share
dry eye allergic rhinitis bone marrow transplantation braces candidiasis lung cancer in old age cancer surgery cystitis vomiting ulcers helicobacter pylori infection stomach cancer vertigo ebola virus cough carcinomas first itching and pain streptococcus ascites sneezing substance abuse disorders allergies anxiety disinfectant neurosyphilis wounds sleep disorder sunburn itchy genital herpes syphilis tinnitus allergic contact dermatitis
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে, রোগের লক্ষণগুলোই রোগের প ...
0 Like
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান । মনেরাখতে হবে যে,রোগের লক্ষণগুলোই রোগের পর ...
0 Like
প্রাত্যহিক জীবনে কতো কিছুই না খাওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু কি আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়া যায়? ...
0 Like
১. ক্যাকটাস: ক্যাকটাস গাছের পাতা সাধারণত কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকায় এই গাছ বেশি জ ...
0 Like
ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারেন না অথবা অনেকে বিছা ...
1 Like
কয়েকটি খাবার দিনের নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া ভীষণ জরুরি। অন্যথায় শরীরের ক্ষতি হতে পারে। সম্প্রত ...
0 Like
এডিস মশা বিশ্বের অনেক বিপদজনক প্রাণীর মধ্যে একটি। ডেঙ্গু এবং পীতজ্বর এডিস মশার কামড়ের মাধ্ ...
0 Like
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ওজন কমানো নিয়ে অনেক বেশি চিন্তার মধ্যে থাকে। ভুল খাদ্যভাসের জন ...
1 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0