মানুষের নাভির মধ্যে ৬৭ রকম ব্যাক্টিরিয়ার উপস্থিতি টের পেয়েছে বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরের মধ্যে সবচেয়ে নোংরা জায়গাটি হল নাভি। শরীর থেকে ঘাম ও লোশন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Jara
Saturday, August 07, 2021
প্রথম যে জিনিসটি আমাদের বুঝতে হবে তা হল কোন খাবারগুলো বেশি পুষ্টিকর এবং একই সাথে কম ক্যালোরি যুক্ত। বিভিন্ন রকম গবেষণায় দেখা গেছে যে পৃথিবীতে অনেক মানুষই মারা গিয়েছে সঠিক খাদ্যের অভাবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে পৃথিবীতে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। যার কারণে প্রতিটি মানুষের উচিত সুপার ফুড গুলো খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুনাগুনের কোন শেষ নেই। স্বাস্থ্যকর জীবন মানেই পুষ্টিকর খাবার খাদ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। শরীরের শক্তি যোগাতে, হাড় মজবুত করতে, বিভিন্ন রকম ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে, মন-মানসিকতা সতেজ করতে অবশ্যই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গাজরকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। কেননা, গাজরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। গাজর সাধারনত শীতকালে বেশি পাওয়া যায়।
১. ডিমের সাদা অংশ: ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। যা, আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। ডিমের সাদা অংশে থাকে পটাসিয়াম, যা হৃদরোগ কমাতে সহায়তা করে থাকে। অনেক মানুষ আছে যারা অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করে থাকে, তাদের জন্য ডিমের সাদা অংশ খুবই উপকারী। ডিমের কুসুমের চেয়ে সাদা অংশে ক্যালরি কম পরিমানে থাকে ৷ এটি শরীরকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন দিয়ে থাকে। ডিমের সাদা অংশ হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশি সচেতন তারা ডিমের এই সাদা অংশকে বেশি প্রাধান্য দেয় । যার কারণে ডিমের সাদা অংশকে সুপার ফুডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
২. বাদাম : বাদামকে সুপার ফুডস হিসেবে বিবেচিত করা হয়। কেননা বাদামে রয়েছে- প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। বাদাম অনেক রকমের হতে পারে, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম, ব্রাজিল বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। স্বাস্থ্যর উপকারের জন্য বাদামের গুন অপরিহার্য। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
ক. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
খ. ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধি পায়৷
গ. ক্যান্সার দূরে থাকে।
ঘ. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঙ. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
৩. লাল লাল মাংস : লাল মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন-বি ইত্যাদি। লাল মাংসে থাকা প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ৷ কমচর্বি যুক্ত মাংস স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। সুপার ফুডের উপকার পাওয়ার জন্য তাই খাদ্যের প্রতিদিনের তালিকায় লাল মাংস রাখা প্রয়োজন।
৪. ডার্ক চকলেট : আমাদের দেশ থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশের ছোট বাচ্চারা এবং বড়রাও চকলেট পছন্দ করে। ডার্ক চকলেটে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রচুর পরিমাণে থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন যদি একটু করে ডার্ক চকলেট খাওয়া যায় তাহলে স্ট্রোকের পরিমাণ কমানো যায়।
৫. হলুদ সবজি ও ফলমূল : হলুদ সবজি ও ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলুদ সবজি ও ফলমূল অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন। কলা, পাঁকা পেঁপে, বাঙ্গি, পাকা আম, হলুদ ক্যাপসিকাম, আনারস, হলুদ মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টির অভাব পূরণ করতে হলুদ সবজি ও ফলমূলের উপকারীতার শেষ নেই।
৬. দুধ : দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। দুধের মধ্যে খাদ্যের ৬ টি উপাদানই বিদ্যমান থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই দুধ রাখা প্রয়োজন। দুধ মাংসপেশি গঠন, হাড় মজবুত, শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
৭. মসুর ডাল এবং মটরশুটি : এটি ফাইবারাস কার্বোহাইড্রেট, স্টার্চি কার্বোহাইড্রেট, উদ্ভিদ প্রোটিন এবং অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ দ্বারা পরিপূর্ণ। সুস্থ জীবন- যাপনের খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল বা মটরশুটি বিস্ময়কর কাজ করে থাকে।
৮. মাছ : প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি উৎস হচ্ছে মাছ। মাছে ২০ ভাগই রয়েছে আমিষ। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি মাছে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাছ সহজলভ্য এবং দৈনন্দিন খাদ্যের একটি বড় অংশ। প্রতিদিন যদি মাছ খাওয়া সম্ভব না হয়, কমপক্ষে ২/৩ দিন পর পর মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মাছ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। হজম শক্তি বাড়াতেও মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯. আলু : আলুতে রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজপদার্থ। আলু বিশ্বের সবচেয়ে সন্তোষজনক খাবারগুলির মধ্যে একটি। কার্বোহাইড্রেটের উৎস হিসেবে অন্যান্য উপাদানের সাথে আলুর ভূমিকা অনেক । অবশ্যই, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের তালিকায় আলু রাখা প্রয়োজন।
১০. ফল : ফল প্রতিটি মানুষের জন্যই অনেক উপকারী। পরিবেশের চারপাশেই নানা রকম ফল পাওয়া যায়। ফল একটি সেরা পুষ্টিকর খাবার। ভাত, রুটি কম খেয়ে যদি প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এছাড়াও শরীরে শক্তির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
সুপার খাবার অনুসরণ করতে হলে কমচর্বি যুক্ত খাবার খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। তাহলেই সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব।
SHARE THIS
Share
hiv infection. thrush gum swelling insect bites hormone replacement therapy contact dermatitis alzheimer's disease lung streptococcus allergies back pain hair loss sore throat etc. common cold pyelonephritis colon cancer pid shoulder pain nose iron deficiency stiff neck ebola virus lymphomas aggression whooping cough bone marrow transplantation nervousness myalgia back pain anxiety disorders osteoarthritis cancer herpes simplex pregnancy hepatitis-c
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরের মধ্যে সবচেয়ে নোংরা জায়গাটি হল নাভি। শরীর থেকে ঘাম ও লোশন ...
0 Like
প্রাত্যহিক জীবনে কতো কিছুই না খাওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু কি আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়া যায়? ...
0 Like
১. ক্যাকটাস: ক্যাকটাস গাছের পাতা সাধারণত কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকায় এই গাছ বেশি জ ...
0 Like
এই অবাঞ্ছিত লোমের কারণে অনেককে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন বিউটি টিট্রমেন ...
2 Like
পানির সঙ্গে প্রতিদিন অন্তত একবার করে মধু মিশিয়ে পান করতে পারলে তা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। ...
0 Like
কোমর ব্যথার সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভুগে থাকেন, আসুন জেনে নিই কোমর ব্যথার কারণ ও দূর করার উপা ...
0 Like
বয়সের ছাপ একটা স্বাভাবিক ব্যপার। বয়স হলে এটা হবেই। তবে গবেষণায় দেখা গেছে ভাত বয়সের ছ ...
1 Like
দৈনিক ১টি আপেল খান। কোন ডাক্তার লাগবে না! দৈনিক ৫টি বাদা ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0