দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে কি
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter
Wednesday, September 22, 2021

জন্ডিস মূলত কোন রোগ নয়। জন্ডিস মানে হচ্ছে যকৃতের প্রদাহ। ত্বকের হলুদ বর্ণের আস্তরনকে জন্ডিস বলা হয়। যদি কোন ব্যক্তি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়, তার চোখের সাদা অংশের রঙ এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। রক্তে বিলিরুবিন নামক রাসায়নিকের উচ্চ মাত্রার কারণে জন্ডিস ঘটে। জন্ডিসকে কোন রোগ বলা যাবে না। বরং জন্ডিস অন্তর্নিহিত রোগ প্রক্রিয়ার একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ।
বিপাকের অকার্যকরতা বা বিলিরুবিনের নির্গমনের কারণেই জন্ডিস হয়ে থাকে । অতএব জন্ডিসের প্রধান কারণ জানা অনেক জরুরি। জন্ডিসের কারণগুলিকে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন-
১. প্রি-হেপাটিক
২. হেপাটিক এবং
৩. পোস্ট-হেপাটিক।
লিভারে নিঃসরণের আগে প্রি-হেপাটিক সমস্যা দেখা দিলে, লিভারের মধ্যে হেপাটিক দেখা দেয়। অন্যদিকে লিভার থেকে বিলিরুবিন নির্গত হওয়ার পর হেপাটিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জন্ডিসের প্রি-হেপাটিক পর্যায়টি লোহিত রক্তকণিকার অত্যধিক ধ্বংসের কারণে ঘটে। এটি রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়ায়। প্রি-হেপাটিক পর্যায়ের জন্য দায়ী অবস্থার মধ্যে রয়েছে- ম্যালেরিয়া, সিকেল সেল ডিজিজ, থ্যালাসেমিয়া, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, ঔষধ এবং অন্যান্য বিষ। হেপাটাইটিস পর্যায়ে জন্ডিস সৃষ্টির জন্য দায়ী কয়েকটি কারণ হলো হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি বা ই।
১. পিত্তথলির পাথর
২. কোলেঞ্জাইটিস
৩. পিত্তনালীর কঠোরতা এবং
৪. ক্যান্সার (পিত্তথলির ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার এবং পিত্তনালীর ক্যান্সার)।
জন্ডিসের পোস্ট-হেপাটিক কারণটি মূলত স্বাভাবিক নিষ্কাশনে ব্যাঘাত বা লিভার থেকে অন্ত্রের বিলিরুবিনের নির্গমনজনিত কারণে ঘটে।
জন্ডিস নির্ণয়ের জন্য ডাক্তাররা প্রায়ই রোগীর ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা বিবেচনা করেন। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জন্ডিস চিহ্নিত করা হয়। যদি জন্ডিসের কারণ চিহ্নিত করা না যায়, তাহলে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। রক্ত পরীক্ষা বিলিরুবিনের মাত্রা এবং রক্তের গঠন বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
জন্ডিস একটি লক্ষণ যা ইঙ্গিত করে যে কেউ কোন রোগে ভুগছে। জন্ডিস সাধারণত শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হয়।
যখন মানুষের জন্ডিস হয় তখন রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ ২.৫-৩ মিলিগ্রাম/ডিএল অতিক্রম করে। বিলিরুবিনের নির্গমনের স্বাভাবিক বিপাক সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে এটি ঘটে।
১/ ত্বকের রঙ, মল এবং প্রস্রাবের পরিবর্তন: জন্ডিসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো চোখ হলুদ হওয়া। ত্বকের রঙ, এমনকি মুখের আস্তরণও হলুদ রঙের হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অংশের এই হলুদ রং জন্ডিসের তীব্রতার উপর নির্ভর করতে পারে। তাই সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি জন্ডিসের প্রকোপ লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। জন্ডিস হলে মল দিয়ে খুব ফ্যাকাশে রঙ পাস হয়। এটি হলুদ-সবুজ মল হতে পারে।
২/ জ্বর এবং ঠাণ্ডা: জন্ডিস প্রায়ই উচ্চ জ্বর এবং ঠাণ্ডার সাথে থাকে। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার উপরে উঠতে পারে। এই জ্বর প্রায়ই পেটে ব্যাথা, পা ফুলে যাওয়া এবং পেটের এলাকায় যেতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি এই সব উপসর্গ একসাথে অনুভব করে, তাহলে তার জন্ডিস হতে বাধ্য। এই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৩/ ত্বক চুলকায়: জন্ডিস প্রায়ই স্থায়ী চুলকানির দ্বারা মিলিত হয়। যখন বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং সারা শরীরে অতিরিক্ত পিত্ত লবণ জমা হয় তখন এটি ঘটে।
৪/ বমি বমি ভাব : যেহেতু জন্ডিস একটি মারাত্মক সংক্রমণ যা মানুষের লিভারে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বমি বমি ভাব এবং বমি একটি সাধারণ লক্ষণ। যদি কেউ ২৪ ঘন্টার পরেও বমি বমি ভাব অনুভব করে তবে সেই অবিলম্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৫/ ক্ষুধা হ্রাস এবং ওজন হ্রাস: জন্ডিসের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো ক্ষুধা হ্রাস এবং অতিরিক্ত ওজন হ্রাস। যদি শরীর থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে যায় তাহলে লিভার সংক্রামিত হয়। এটি মানুষের শরীরের স্বাস্থ্যের পরামিতি যেমন- বিএমআর এবং ওজনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
৬/ যকৃত শক্ত হয়ে যাওয়া।
৭/ চুলকানি
১/ জন্ডিস ও টাইফয়েড এড়াতে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
২/ ভিটামিন এ, ই জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
৩/ ফুটানো পানি পান করতে হবে।
৪/ অ্যালকোহল এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫/ শেভ করার সময় নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে হবে।
৬/ কলকারখানার ধোয়া, ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৭/ বাহিরের খোলা মেলা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৮/ জন্ডিস থেকে যেহেতু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাই জন্ডিস সম্পর্কে অবশ্যই সচেতনা অবলম্বন করতে হবে।
জন্ডিস অনেকটা কলেরা এবং ডায়রিয়ার মতো একটি অবস্থা যা আগে থেকে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিকাশ লাভ করে। অতএব, মূল কর্ম পরিকল্পনায় সমস্যাটির চিকিৎসা জড়িত যা বিলিরুবিন ভাইরাসের অত্যধিক গঠনের দিকে পরিচালিত করে। একবার জন্ডিস রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে, সেই নির্দিষ্ট অবস্থার মোকাবেলার জন্য চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে এবং এর জন্য হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে বা নাও হতে পারে।
যদি সঠিক সময়ে জন্ডিসের চিকিৎসার পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে জন্ডিস মূলত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লিভার নিজে শরীর থেকে বিষ এবং ভাইরাস নির্মূল করার জন্য সুসজ্জিত। যাইহোক জন্ডিসের গুরুতর ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন। জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য, ডাক্তাররা সাধারণত অন্তর্নিহিত কারণের চিকিৎসা করে যা সাধারণত অ্যালকোহল এবং মাদক সেবন সংক্রান্ত সমস্যা, লিভারের ক্ষতি বা সিরোসিস, পিত্তথলির পাথর বা এমনকি রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে তরল, ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক, বা রক্ত সঞ্চালনের সাথে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে এবং যদি অন্য সব নির্ধারিত ঔষধ সমস্যা সৃষ্টি করে। সেইজন্য এটিকে বিকল্পভাবে বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নবজাতকের ক্ষেত্রে জন্ডিস সাধারণত নিজেই চলে যায়। সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা এবং ভিটামিন ডি পাওয়া এই অবস্থা দূর করতে পারে।
SHARE THIS
Share
parkinson's disease lung cancer shock motion sickness cough iron deficiency anemia in old age hemorrhoids trachoma nutritional supplement type 2 diabetes tic disorders angina cancer prevention atherosclerosis spine first back pain oral hygiene pancreatic urinary tract infection insect bites aids stomach upset macular degeneration allergies breast bladder tuberculosis whooping cough cancer common krait erectile dysfunction irritability sperm production constipation
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অন্যতম বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী ন ...
1 Like
অনেকেই আছেন যারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নাভিতে জিভ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ...
0 Like
স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্ ...
2 Like
অ্যালকোহল এমন একটা পানীয় যা দেখলেই পান করতে মন চায়। আগের দিনে অ্যালকোহল জলের বিকল্প হিসেব ...
2 Like
নাক বন্ধে নাকের ড্রপ ব্যবহারে কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?উত্তর: কিছু কিছু নাকের ...
0 Like
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। অনেক জ্বরেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলে ...
1 Like
Medicines have become a part of our life because every one of us needs them at least once ...
1 Like
অ্যাসিডিটি মানেই পেটের সর্বনাশ! কখনও বুকজ্বালা, কখনও ঢেঁকুর আবার কখনও বায়ুর চাপ। এরপর তেলজ ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0