কিছু অপ্রচলিত খাবার যেগুলো প্রয়োজনে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়
১. ক্যাকটাস: ক্যাকটাস গাছের পাতা সাধারণত কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকায় এই গাছ বেশি জ ...
Health experience | Write here | Write and share your health experience to help community.
Fahima Akter
Tuesday, September 20, 2022
টেস্টোস্টেরন একটি যৌন হরমোন যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই উপস্থিত থাকে। যদিও এটি তুলনামূলক ভাবে পুরুষদের মধ্যে মহিলাদের থেকে বেশি পরিমাণ থাকে। এটি প্রাথমিকভাবে অণ্ডকোষ, মহিলা ডিম্বাশয় এবং কখনও কখনও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে উৎদাপিত হয়। সাধারণত ৩০ এর পরে থেকে পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। এটি পুরুষদের বয়ঃসন্ধি, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, চুলের বৃদ্ধি, পুরুষালি গঠন এবং উদ্দীপনার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বয়স্ক ব্যক্তিদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকে। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর ছেলেদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ধীরে ধীরে ১% করে হ্রাস পায়। দুর্বল টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি, ঘুমের ধরনে পরিবর্তন, কর্মশক্তি, যৌন ক্রিয়া এবং আবেগ সহ বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যেন কম-বেশি না হয় সেদিকে খায়াল রাখতে হবে।
১। ওজন ঠিক রাখা। ব্যায়াম করা যা শরীরের টেস্টোস্টেরন ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে । গবেষণায় দেখা গেছে ব্যায়াম শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি, বিশেষত ভার উত্তোলনের মতো প্রশিক্ষণ স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির ভালো উপায়।
২। প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখা। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মানুষ প্রতিদিন যা খায় সেটা হরমোনের কার্যকারিতা এবং সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলে। অতএব, এমন সব খাবার খেতে হবে যা টেস্টোস্টেরনের ভারসাম্য স্বাভাবিক রাখবে । সর্বোত্তম মাত্রার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দৈনন্দিন খাদ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, কার্বন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকা নিশ্চিত করতে হবে । অনিয়মিত ডায়েটিং বা হটাত ডায়েট পরিবর্তন করা বুদ্ধিমানের কাজ নাও হতে পারে। কারণ, এটি কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । সেইসাথে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
৩। স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যা টেস্টোস্টেরনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে । বেশি দুশ্চিন্তা শরীরে কর্টিসল নিঃসরণ করে যেটি দ্রুত টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে মানুষকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে । স্ট্রেস মানুষের ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং অন্ত্রের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
৪। ভিটামিন-ডি সরাসরি টেস্টোস্টেরনের সাথে যুক্ত। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-ডি প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে। সেইসাথে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।যদিও অনেকেরই এই স্বাস্থ্যকর ভিটামিনের অভাব আছে। কিছু সময় বাইরে রোদে কাটাতে হবে , প্রয়োজনে ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।
৫। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ভালোভাবে বিশ্রাম নেওয়া এবং ভালো ঘুম টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা নিশ্চিত করে।
১/ রসুন : কাঁচা রসুন অনেক উপকারী। রসুনে আলিসিন যৌগ থাকে, যেটা মানসিন চাপ কমাতে সাহায্য করে যার কারণে টেস্টোস্টেরন ঠিকভাবে কাজ করে এবং এটি টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
২/ মধু : মধুতে প্রাকৃতিক উপাদান বোরোন রয়েছে। মধু লিঙ্গোত্থানে শক্তি দিয়ে থাকে। মধুতে থাকা খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
৩/ বাঁধাকপি : বাঁধাকপি থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। বাঁধাকপিতে থাকা ইনডল-থ্রি কার্বিনল এই উপাদানটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে স্ত্রী হরমোনের ওয়েস্টজেনের পরিমানকে কমিয়ে দেয়।
৪/ ডিম : ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি এবং প্রোটিন যা টেস্টোস্টেরন বাড়াতে অনেক সহায়তা করে থাকে।
৫/ কলা : কলা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘসময় শক্তি সরাবরাহের কাজে সাহায্য করে।
৬/ জিংক : জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। বাদাম, লেটুসপাতা এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম।
৭/ আদা : আদা অনেক উপকারী একটা খাবার। প্রতিদিন আদা খাওয়ার ফলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ ১৭% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
৮/ গাজর : গাজর ভিটামিন-বি৬ এর খুব ভালো উৎস। ভিটামিন-বি৬ এর ফলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৯/ ঝিনুক : যদিও কিছুটা অপ্রচলিত খাবার এরপরও এটি যৌন ক্ষমতা এবং যৌন জীবনকে সুন্দর করে তুলতে বেস কার্যকর। ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম উপাদান থাকে যেটা শুক্রাণুর পরিমান এবং টেস্টোস্টেরনের পরিমান বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
এগুলো ছাড়াও কাঠবাদাম, আঙুর, পালংশাক, মাংস, ডালিম, টক জাতীয় ফল টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে অনেক সহায়তা করে থাকে। টেস্টোস্টেরন সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। যেসব ঔষধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেগুলো থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত মদ, মাদক এবং তামাকের ব্যবহারও কমিয়ে আনতে হবে যাতে একটি সুস্থ, সুখী জীবনযাত্রা বজায় থাকে।
SHARE THIS
Share
common cold vaginal itching urinary tract infection gonorrhea throat prostate cancer rhinitis eczema cough heartburn disinfectant osteoarthritis heart failure itching gastroesophageal reflux disease (gerd) lymphomas bipolar disorder ischemic stroke apathy vertigo hiv / aids cancer menstrual cramps diabetes cancer prevention sweating myalgia sunburn multiple sclerosis cornea strains nervousness flatulence swine flu dehydration gum swelling
১. ক্যাকটাস: ক্যাকটাস গাছের পাতা সাধারণত কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকায় এই গাছ বেশি জ ...
0 Like
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ওজন কমানো নিয়ে অনেক বেশি চিন্তার মধ্যে থাকে। ভুল খাদ্যভাসের জন ...
1 Like
দুঃস্বপ্ন দেখার ফলে একেক মানুষের উপর একেক প্রভাব পরে। অনেকে রাতের বেলা দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে ...
0 Like
মন নিয়ে সঠিক সংজ্ঞা এখনো পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। মন অনেক জটিল একটা জিনিস। মন এমন একটা বিষ ...
0 Like
হাইডেলবার্গের বিজ্ঞানিরা বলেছেন যে, মানুষের অন্ত্রে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে থাকে। ...
0 Like
মানুষের সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সারাবিশ্বে গবেষকরা নানা রকম আলোচনা চালিয়া যাচ ...
0 Like
বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও মহামারী চলছে। আর এই মহামারিতে হাতের যত্ন এক ...
0 Like
টেস্টোস্টেরন একটি যৌন হরমোন যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই উপস্থিত থাকে। যদিও এটি তুলনাম ...
0 Like
New to Welfarebd? Sign up
Subscribe to our newsletter & stay updated
0